আমাদের সম্পর্কে

যুবসমাজ হল যেকোন সমাজ ও জাতির সবচেয়ে সক্রিয় অংশ। দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণে যুবকদের মন মানসিকতা ও আচরণই সহযোগী হয়ে ওঠে। এমনকি, কোনও সভ্যতার বিনির্মাণে যুবসমাজের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। বর্তমানে আমাদের দেশ ভারতে যুবকদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে, সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি সুনিশ্চিত করতে এবং নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটাতে যুবকদের মানসিকভাবে গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। 

দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে ন্যায়ের কন্ঠকে সোচ্চার করতে, মানুষের মর্যাদা ও স্বাধীনতাকে সুদৃঢ় করার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে যুবকরাই। শক্তিশালী নেতৃত্ব, দায়িত্ববোধের সচেতনতার সাথে যুবকরা তাদের নিজস্ব পরিকল্পনা তৈরি করে তার বাস্তবায়ন করতে পারে। কণ্ঠহীনদের হয়ে আওয়াজ উঠাতে পারে, সৃজনশীল চিন্তাভাবনা, উদ্ভাবনী শক্তি এবং কর্মক্ষমতার দ্বারা সামাজিক দৃষ্টিকোণ পেশ করে যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে পারে। বিভিন্ন জাতিসত্তার পরিচিতির মধ্যে সেতুবন্ধন ঘটাতে পারে।

এই সকল বাস্তবতাকে সামনে রেখে এমন একটা যুব আন্দোলনের প্রয়োজন যা সুসংঘবদ্ধভাবে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে কাজ করতে পারে। ঐক্যবদ্ধতা ও সামষ্টিক চিন্তা চেতনা নিয়ে কাজ করার মানসিকতা রাখে এমন যুবকদের ফেডারেশন কায়েম করে যোগ্যতা সম্পন্ন ও কর্মক্ষম যুবকদের একে অপরের কাছাকাছি আসার,  যুবকদের সঙ্ঘবদ্ধ করার এবং তাদের সক্রিয় করার সুযোগ পাওয়া যাবে। নিজের লক্ষ্যে নিয়োজিত থেকে নিজের শক্তিকে আইনি পথে কার্যকর করবে। এটি হবে একটি সামাজিক আন্দোলন। এর কর্মীদের এমনভাবে উদ্বুদ্ধ করা হবে যাতে তারা আবেগের দ্বারা পরিচালিত না হয়ে যুক্তিসঙ্গতভাবে সমস্যাকে অনুধাবন করবে এবং সেগুলোর সুষ্ট সমাধান করবে।  সমস্যার সমাধানে গবেষণামূলক চিন্তাধারা এবং সংলাপের আশ্রয় নেবে।

লক্ষ্য

  • ইসলামী ব্যক্তিত্বের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ সাধন করা।
  • স্রষ্টার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন ও মানবতার সেবার জন্য যুবকদের উদ্বুদ্ধ করা।
  • মানবাধিকার, সামাজিক ন্যায় ও জাতীয় নাগরিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যুবকদের সংযুক্ত করা।
  • যুবকদের মধ্যে জ্ঞান ও সুস্থ সংস্কৃতির প্রচার ও বিকাশ সাধন করা।
  • বহুত্ববাদী সমাজের মূল্যবোধের ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রচার করা।
  • নৈতিক মূল্যবোধের প্রচার, প্রসার ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করা।
  • দক্ষতার উন্নয়ন, জীবিকা, ব্যবসা এবং উন্নত স্বাস্থ্য চর্চার মাধ্যমে যুবকদের ক্ষমতার বিকাশ সাধন করা।
  • প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও স্থায়ী উন্নয়নের জন্য যুবকদের মধ্যে দায়িত্ব জাগ্রত করা।

উদ্দেশ্য

  • সামাজিক উন্নয়নঃ  সমাজে শিক্ষা সচেতনতা, ব্যবসায় উন্নতি, কল্যাণমূলক কাজ ও সমাজসেবা, সামাজিক অপকর্মের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। 
  • যুব সংস্কৃতিঃ যুবকদের এমনভাবে সংগঠিত করা হবে যাতে তারা তাদের আত্মপরিচয় এবং সাংগঠনিক সংযোগকে প্রকাশ করবে ইসলামী মূল্যবোধের নিরিখে, আর উদ্দেশ্য—লক্ষ্যের দিক থেকে সাধারণ যুবকদের থেকে তারা তাদের স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখবে। শিল্প, নাটক, কাব্য—কবিতা, ইউটিউবার, ব্লগ – এই ধরনের অন্যান্য সাংস্কৃতিক ময়দানে যুবকদের আকৃষ্ট করতে হবে। 
  • যুব সমস্যাঃ একঘেয়েমী, লক্ষ্যহীন জীবন, খারাপ অভ্যাস, পারিবারিক সমস্যা মনোযোগের বিষয় হবে। তরুণদের জীবনকে উচ্চতার জায়গায় নিয়ে যাবার আগ্রহ সৃষ্টি, অর্থবহ জীবনযাপনে সহায়তা করা এবং দেশ ও মিল্লাতের গঠনমূলক কাজে তাদের শক্তিকে কাজে লাগানো আবশ্যক।
  • সামাজিক—রাজনৈতিক বিষয়ঃ মানবাধিকার, সাংবিধানিক মূল্যবোধ এবং সমাজ গঠনে যুবকদের অংশগ্রহণ করানো এবং তাদের কর্মক্ষমতাকে কাজে লাগানো হবে। দুর্নীতি ও বেইনসাফির বিরুদ্ধে তাদের প্রস্তুত করা হবে।

About

যুবসমাজ হল যেকোন সমাজ ও জাতির সবচেয়ে সক্রিয় অংশ। দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণে যুবকদের মন মানসিকতা ও আচরণই সহযোগী হয়ে ওঠে। এমনকি, কোনও সভ্যতার বিনির্মাণে যুবসমাজের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। বর্তমানে আমাদের দেশ ভারতে যুবকদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে, সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি সুনিশ্চিত করতে এবং নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটাতে যুবকদের মানসিকভাবে গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। 

Contact Info

© 2024 Created with Solidarity West Bengal